ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ

যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0547 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রি করিনি। কিছুক্ষণ পরে, এই লেভেলের দ্বিতীয় টেস্ট ঘটে, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা পরিকল্পনা #২ (বাই সিগন্যাল) কার্যকর করার সুযোগ দেয়। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য ৩০ পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল।

ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল ট্রেডারদের মধ্যে বাড়তি সতর্কতা তৈরি করেছে, এবং আজকেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে হয়। ইউরোজোনের ইঞ্জিন হিসাবে পরিচিত জার্মানির উৎপাদন কার্যক্রম সংক্রান্ত সূচকগুলোর ফলাফল অর্থনৈতিক মন্থরতার সংকেত দিতে পারে। এটি ইউরোর জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে, আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে ইউরোর চাপের মুখে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ক্রিস্টিন লাগার্ড সম্ভবত আজকের বক্তব্যে মুদ্রানীতির ব্যাপারে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করবেন। একই সময়ে, ইউরোজনের মুদ্রাস্ফীতি একটি তীব্র সমস্যা হিসাবে রয়ে গেছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি কঠিন অবস্থানে রেখেছে। ভোক্তা ব্যয় এবং বিনিয়োগে সমর্থন প্রয়োজন, তবে বাড়তি মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিবিদদের জন্য অতিরিক্ত সমস্যা সৃষ্টি করছে।

ইউরোজোন থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের যেকোনো নেতিবাচক ফলাফল দ্রুত ইউরোর উপর পুনরায় চাপ সৃষ্টি পারে। গত সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় ইউরো কিছুটা সুবিধা পেয়েছিল এবং এটির মূল্য সক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #১ এবং #২ বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।

বাই সিগন্যাল

পরিকল্পনা #1:

আজ যখন মূল্য 1.0609-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0548-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0609 পয়েন্টে গেলে, আমি মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। আজ দিনের প্রথমার্ধে শুধুমাত্র প্রকাশিতব্য সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশের পরে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির আশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ! কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।

পরিকল্পনা #2:

MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0514-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি সম্ভবত এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0548 এবং 1.0609-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।

সেল সিগন্যাল

পরিকল্পনা #1:

EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0514-এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0466-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি মার্কেট থেকে বের হয়ে অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন মুহূর্তে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে, তবে যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।

পরিকল্পনা #2:

MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0548-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0514 এবং 1.0466-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।

চার্টে কী আছে:

• হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
• গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
• হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
• গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
• MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ:

• মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
• গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত।
• সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন।
• স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
• সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।